উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন
দেশের উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপের
প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও শনিবার (৬ জুলাই) সারাদিন কখনও থেমে থেমে, কখনও টানা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা
হয়েছে।
চট্টগ্রামে ভোর থেকে শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি। এতে সকাল বেলায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ কর্মস্থলমুখী মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাস, টেম্পো, অটোরিকশা, রিকশা চলাচল কমে যাওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেক যাত্রীকে।
এদিকে ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রামে পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনার কিথা জানিয়ে স্থানীদের সতর্ক করেছে আবহাওয়ার অধিদপ্তর। নগরের বিভিন্ন পাহাড় এবং পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া লালখানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উপকূলে
নৌকা, লঞ্চ, স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়।
আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক বার্তায় বলা হয়, লঘুচাপের প্রভাবে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে হবে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট নির্ধারিত সময় ছেড়ে গেছে বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে।