বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথে স্টিভ রোডসের ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও এর আগেই শেষ হচ্ছে তার দায়িত্ব। হেড কোচ হিসাবে আর থাকছেন না এই পরিশ্রমী কোচ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ঘটতে যাচ্ছে স্টিভ রোডস অধ্যায়ের সমাপ্তি, এমন কানাঘুষো ছিলো। বিশ্বকাপের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হলেও তা আজ নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্টিভ রোডস ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ১৯৯৪-৯৫ সালে ১১ টি টেস্ট ও ৯ টি ওয়ানডে ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
ব্যাট হাতে খুব একটা সফল ছিলেন না। দুই ফরম্যাট মিলে রান করেছেন মাত্র ৪০১। তবে উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে স্টাম্পিং করেছেন ৫ টি, ক্যাচ ধরেছেন ৫৫ টি (দুই ফরম্যাট মিলিয়ে)।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ১৯৯৫ সালেই। অার ২০০৪ সালে ছাড়েন ঘরোয়া লিগে খেলাও। পরে ১৯৮১ সালে কাউন্টি ক্রিকেটের কনিষ্ঠ উইকেটকিপার হিসেবে ইয়র্কশায়ারে খেলা শুরু করেন।
খেলা ছাড়ার পর ওর্চেস্টারশায়ারের কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন স্টিভ রোডস। পরে হয়েছিলেন ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট। সাকিব আল হাসান যখন কাউন্টি খেলতে ওর্চেস্টারশায়ারে যোগ দেন (২০১০ সালে) তখন ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট পদে ছিলেন স্টিভ রোডস। সে সময় সাকিবের দলভুক্তি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সাবেক এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
২০১৮ সালের ৭ জুন বাংলাদেশ দলের হেড কোচের পদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পান স্টিভ রোডস আর তার সমাপ্তি ঘটলো আজ।