শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কোরালতলি গ্রামের আলী আহম্মদ চৌকিদারের কনিষ্ঠ পুত্র আব্দুর রহমান গফুর। যার বয়স মাত্র চার বছর। তবে এই চার বছরের শিশুই বনে গেছেন একজন পীর। এলাকায় তার অনেক নাম। এমনকি রয়েছে শত শত মুরিদ, ভক্ত আর আশেকান। ভক্তরা তার সাথে দেখা করতে গেছেই হাতে একটি সিগারেট ধরিয়ে দেয়। চিকিৎসা নিতে হলে হাদিয়া দিতে হয় ১০১ টাকা। আর আগরবাতি, মোমবাতি, ম্যাচ ও এক প্যাকেট সিগারেট তো বাধ্যতামূলক। শুধু এগুলো বিক্রির জন্যই বাড়ির মধ্যে খোলা হয়েছে একটি দোকান। প্রতি বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় জলসার। রাতভর চলে গান বাজনা আর ভুড়িভোজ। বাড়ির মধ্যেই চলছে মাজার নির্মাণের প্রস্তুতি।
চার বছরের শিশু আব্দৃর রহমান গফুরকে কেউ কেউ শখ করে বিড়িবাবাও বলেও ডেকে থাকেন।
জানা গেছে, আলী আহম্মদের তিন মেয়ের পর এই ছেলের জন্ম হয়। পেশায় তিনি একজন চা বিক্রেতা। পাশের শিংজালা বাজারে তার ছোট্ট চায়ের দোকান রয়েছে। কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার ঋণ নিয়েছেন তিনি। ঋণের চাপে এখন আলী আহম্মদ জর্জরিত বলে জানান স্থানীয়রা।
বিড়িবাবার বাড়িতে যেকোন সময় গেলেই দেখা মিলবে ১৫-২০ জন ভক্তের।অনেকে অনেক দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসেন। তাদের সাথে থাকে একশত দশ টাকা, এক প্যাকেট সিগারেট, ম্যাচ, মোমাবাতি আর আগরবাতি। এসব নিয়ে আসেন হাদিয়া হিসেবে দেওয়ার জন্য। হাদিয়া দেওয়ার পর অভিযোগ গুলো বাবার নিকট দিয়ে যান।বাবা তাদের এক সপ্তাহ পরে আসতে বলেন।
এলাকার কিছু মানুষের আবার ভিন্ন দাবী। তাদের অনেকেই বলেন, ছোট্ট শিশু দিয়ে সব ভণ্ডামি চলছে। পরিবারের সবাই মিলে এখন ব্যবসা খুলে বসেছে। শুরুর দিকেই অনেকে বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের দাবী, এমন প্রতারণা যেন বন্ধ হয়।