‘বঙ্গবন্ধুর বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনে তিনি অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকা হিসেবে সঙ্গ দিয়েছেন। ‘ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র ফোরামের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) নগরীর জি.ই.সি মোড়ে নূরবাগ আবাসিক এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ছাত্র ফোরাম। এছাড়া দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দিনব্যাপী এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল সেচ্ছায় রক্তদান, রক্তের ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি এবং আলোচনা সভা৷
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাবেক কার্যকরী সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম।
সংগঠনের সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক কার্যকরী সদস্য আব্দুর রহিম শামীমের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাহুল দাশের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মোঃমহিউদ্দিন বাচ্চু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মশিউর রহমান দিদার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সুরঞ্জিত বড়ুয়া লাভু, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওমর গণি এম.ই.এস বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ছাত্র সংসদের ভি.পি ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর যুবলীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীর চৌধুরী, ফিরোজ আহমেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রাজেশ বড়ুয়া, নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৌমেন বড়ুয়া, নুরুল ইসলাম সুমন, মোস্তফা কামাল, রেজাউল করিম মামুন, রেজাউল করিম রিটন, মোশরাফুল হক চৌধুরী পাবেল, ইমরান আহম্মেদ শাওন, সৈকত বর্মণ, নুর মোহাম্মদ রুবেল,
এস.এম আলামিন, জাহিদুল ইসলাম, আল মাহমুদ,হিমেল বড়ুয়া, রিয়াদ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন সিকদার, শাহাদাত হোসেন, সৈকত দাশ, মোমিনুল হক, মোহাম্মদ মহসিন প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ফরিদপুরের টুঙ্গীপাড়ার অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান শেখ মুজিব দীর্ঘ আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই নন বরং বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন, তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অফুরন্ত প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন বেগম মুজিব। বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারে বারে পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবন-যাপন করছিলেন, তখন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তার কাছে ছুটে আসতেন, তিনি তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা পৌঁছে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতেন। বিশেষ করে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
নেতৃবৃন্দ শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আদর্শ বুকে ধারণা করে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
স্বেচ্ছায় রক্তদান ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচিতে ৫০ জন সেচ্ছায় রক্তদান করেন এবং ৫০০ অধিক মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।