জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় আয়োজিত চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মেজাবানের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে বাদ আসর টুঙ্গিপাড়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ফিরতি যাত্রা শুরু করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এবারের মেজবানে অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। সকাল ১০ টা থেকে আরম্ভ হয়ে মেজবান চলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। এবারে সব মিলিয়ে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ মেজবানে অংশ নিয়েছেন।
প্রতি বছরের মতো টুঙ্গিপাড়ার দুটি স্থানে মেজবানির আয়োজন করা হয়। সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে করা হয় মূল আয়োজন। সেখানে প্রায় ৩০ হাজার লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়া পার্শ্ববর্তী বালাডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্যও আলাদা মেজবানের আয়োজন করা হয়। সেখানেও প্রায় ১০ হাজার লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক আবু সাঈদ সুমন সিনিউজ অনলাইনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন এবারে দুটি স্থানে মোট ৪০ হাজার মানুষকে মেজবান খাওয়ানো হয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মেজবান অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আসর মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা চট্টগ্রামেত উদ্দেশ্যে ফিরতি যাত্রা আরম্ভ করেছি।
২৬ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী টুঙ্গিপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করেছিলেন। এরপর থেকে প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় মেজবানের আয়োজন করতেন তিনি। নিজে উপস্থিত থেকে মেজবানের কার্যক্রম তদারকি করতেন চট্টলবীর খ্যাত এই নেতা।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর গত দুই বছর ধরে তাঁর পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এই মেজবান পরিচালনা করে আসছেন।