সরকারের বর্তমান জিরো টলারেন্স নীতি মূলত ক্যাসিনো সংষ্কৃতির বিরুদ্ধে নয় বরং এই জিরো টলারেন্স সুনিদৃষ্ট কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বৃহষ্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল। ক্যাসিনো সংষ্কৃতিকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের বিনিময় কেন্দ্র ও একটি আয়না হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আয়নার প্রতিচ্ছবিকে ধরা কিন্ত্য লক্ষ্য নয়। আয়না ভেঙ্গে দিলেই বাস্তবতা পরিবর্তন হয়না, মূল লক্ষ্য হলো সেই অবৈধতা যা এই আয়নায় প্রতিফলিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি যারা সরকারি উন্নয়ন কর্মকান্ডকে জিম্মি করে বা আরো অবৈধ কাজ করে অঢেল অর্থ আয় করে ক্যাসিনোতে দিয়েছে বা সেখান থেকে নিয়েছে। লক্ষ্যটা কিন্ত্য ঐসব ব্যক্তিদের অবৈধ বা অনৈতিক আয়। তাদের অঢেল সম্পদ যেন রাজনীতি বা সমাজে ব্যবহৃত না হয় এজন্যই এদের লাগাম টানা হচ্ছে বলে যোগ করেন নওফেল।
এজন্য ফোকাসটা কে তাস খেলছে তাতে না দিয়ে দূর্নীতি সহ সুনির্দিষ্ট অবৈধ কাজের বিষয়ে রাখার জন্যও মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ জানাম সরকারি দলের তরুণ এই নেতা।
পাঠকের সুবিধার্থে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-“ব্রিজ, বা নানান ধরণের কার্ড/তাস ইত্যাদি সাধারন ইন্ডোর টেবিল বা বোর্ড গেমের অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশে ক্যাসিনো সংস্কৃতির আমদানি করে বিএনপির এক শ্রেনীর উচ্চবিত্ত টাইকুনেরা। কালের পরিক্রমায় এখন এই ক্যাসিনো সংস্কৃতি অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের বিনিময় কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং এটি একটি আয়না মাত্র, আয়নার প্রতিচ্ছবিকে ধরা কিন্তু লক্ষ্য নয়। আয়না ভেঙে দিলেই বাস্তবতা পরিবর্তন হয়না। মূল লক্ষ্য হোলো সেই অবৈধতা, যা এই আয়নায় প্রতিফলিত হচ্ছে, কারন সুশাসন আমাদের মত দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের শুধু নয়, উন্নয়নশীল যেকোনো দেশের জন্যই এটি একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটিই হাতে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, তার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে। কিছু সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি যারা সরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডকে জিম্মি করে, বা আরো অবৈধ কাজ করে অঢেল অর্থ আয় করে, হয় ক্যাসিনোতে দিয়েছে বা সেখান থেকে নিয়েছে। লক্ষ্যটি কিন্তু ঐসব ব্যক্তিদের অবৈধ বা অনৈতিক আয় এবং তাদের অঢেল সম্পদ যেন রাজনীতি বা সমাজে ব্যবহৃত না হয়, এর জন্য এদের লাগাম টানা। সকলেই প্রত্যাশা করে যারাই অনৈতিকভাবে প্রভাব খাটিয়ে অঢেল বিত্তশালী হয়ে দূর্নীতি উস্কে দিয়েছে তারা আইনের আওতায় আসুক। তাস খেলেছে কেউ, নাকি বিলিয়ার্ড খেলেছে, সেটা দেখার চাইতে বা তা নিয়ে মাতামাতির চাইতে গনমাধ্যমের উচিৎ কোনো সুনির্দিষ্ট অবৈধ কাজকে সামনে নিয়ে উন্মোচিত করে। আমাদের আলোচিত করা অর্থাৎ সেন্সেশন তৈরী করার চাইতে সমাধান বা সলিউশন কি সেটা নিয়ে আসলে কাজ করা দরকার।”